সানুনয় নিবেদন (হাসান ইমতি)

ক্ষুধিত ইচ্ছেময় পুরুষ-গন্ধি রাতের বুক পকেটের
অনৈতিক ভাজে রাখা কাম-ভেজা কোন শরীরময়
বোধের সাথে আমার আর হয়না নির্ঘুম সহবাস …
স্পর্ধিত বিশ্বাসের উর্বশী পাখায় লোলুপ আগুন
জ্বেলে পুড়িয়ে ফেলেছি আমার সব সুখস্বপ্ন …

 

Read full post..

সানুনয় নিবেদন (হাসান ইমতি)

Bangla Kobita – Tin Rajar Galpo

“নাক কাটা রাজা রে
দেখ তোর কেমন সাজা রে।।”
ছোট বেলার এই গল্পটা আমরা সবাই পড়েছি। অল্প বিস্তর মনেও আছে নিশ্চয়। সেই যে এক রাজা ছিল – আর রাজার মনে ভারী হিংসা – টুনি – মানে টুনটুনির প্রতি। থাক বাকিটা মনে করুন – আমি বরং অন্য এক কবিতা শোনাই।

For more www.amarbanglakobita.com

It is a very nice poetry. Waiting for your opinion…

 

অদিতি কোনও কবিতা

অদিতি যদি কোনও কবিতা হত’ ৷৷
এভাবেও কি জন্ম দেওয়া যায় ?
            আচ্ছন্ন অনির্বাণ আর….
জীবনের ফেলে আসা রূপকথার ফুলশয্যা
এভাবেও কি জন্ম দেওয়া যায় ?
যদি অদিতি কোনও কবিতা হত’ !
আমার রক্ত দিয়ে রাঙানো আধুলি
বিক্রি করে দিত হাজার ডলার ৷
যদি অদিতি কোনও কবিতা হত’……..৷
রুদ্ধশ্বাস  রুদ্ধ কণ্ঠ –
আঢ়ষ্ঠ জিহ্বা – উদ্গত প্রাণ –
সময় শুধু অঙ্কের হিসাব ৷৷
                                    অদিতি –
অদিতি যদি ………………….৷৷
               ঘুমাও ..
ঘুমাও অদিতি ঘুমাও ৷
শিশিরের হাত ধরে – পাতাঝরা গান
– আর ঘুম পাড়ানি বিকেল –
তবু তো আমার মতো রক্তাক্ত নও তুমি –
ঘুমাও…. অদিতি ঘুমাও
তুমি তো কোনও কবিতা নও – ৷৷
or

আগুন চাই

অনেক হতাশার ভিড়ে এক আত্মীয়ের মুখের মত
জীবনের অনেক সময় ভিড় করে থাকে
     তোমার সহজ হাতছানিও তখন কঠিন করে ফেলি –
অনেক – অনেক হতাশার ভিড়ে
সেই আত্মীয় খুঁজে ফিরি ।।

 

তারা আসবে বলে আবিরে সোহাগে মাখামাখি
আদুরে আসনে বরন সাজাই ।।
প্রদীপ জাগ-হাড়ি পুরোহিত প্রসাদ
আমার অস্থিসজ্জায় হোম –
কিন্তু –
আগুন ?
     একটু আগুন পাই কোথায় ?

 

আগুন জ্বালাতে জ্বালাতে প্রস্তরযুগও পেরিয়ে এসেছি আমি
একটু আগুন যদি জ্বালিয়ে দাও –
     আমি হোম হতে পারি –
     ধুপ হতে পারি –
আমি তুবড়ির মত আনন্দ দিতে পারি –
একটু আগুন –
একটু আগুন যদি জ্বালিয়ে দাও ।।

In PDF View

Or

Agun_Chai

অনির্বাণ কোমায় আচ্ছন্ন

অনির্বাণ কোমায় আচ্ছন্ন

প্রত্যুষ আফসোস করেছিল

বলেছিল – কোনো এক অজ্ঞাত পিরামিডের কফিনে

শুধু হৃদপিণ্ডটুকু জ্যান্ত মমির মতো

…………………… আজও বেঁচে আছে ।

আমি সোল্লাসে চিৎকার করে বলেছিলাম

শাবাশ – …. অনির্বাণ শাবাশ |

অনির্বাণ কোমায় আচ্ছন্ন –

মৃত্যুর প্রহর গুনছে ।

কিন্তু …………….

অনেক রাত্রি আত্মস্থ হতে চেয়েছিল অনির্বাণ ।

নিটোল সংজ্ঞাহীন সমাধি ।

সৃষ্টির উন্মত্ত সুখ, উষ্ণ আলিঙ্গন

আর চেয়েছিল নীল আবিরের মত সমুদ্র

মিশরের বুকে আর এক নীল কবিতা লিখবে সে ।

অনির্বাণ চেয়েছিল কিছু সবুজ আফ্রিকা থেকে কুড়িয়ে

সাহারার ধুসর খোঁপায় পরিয়ে দিতে

…………………… পারে নি ।

সময় তার কাছে কোন রাজপথ নয় ।।

সামান্য ভাঙা চোরা সঙ্কীর্ণ গলিপথ ।।

তাই সে ক্লান্ত প্রতীক্ষায় শুধু প্রহর গুনছে ।।

অনির্বাণ মৃত্যুর প্রহর গুনছে

তাই …………….

এখন অন্যখাতে হিসাব মেলাতে ব্যস্ত ।

কালি ঝুলি আর পোড়া ফ্যান মাখা হাঁড়িটা –

আর শিশু হাতে তুলে আনা গুটি কয় ভাতের কণা …….

আমরা আগলে নিয়ে বসে আছি

বছর থেকে আলোকবর্ষ ধরে

…………………… অনির্বাণ ফিরে আসবে ।।

আজ আমি দেখতে পাচ্ছি

সময় অনির্বাণের কপালে চুমু দিয়ে বসে আছে ……

বসে আছে আর নিষ্প্রাণ আঙুলগুলো

অন্যমনস্কভাবে গুনে যাচ্ছে –

এক দুই …………………… দশ ।

আসলে দশটা আঙুল দিয়ে অনেক সংখ্যা হয় ।

…………………… শাবাশ অনির্বাণ শাবাশ ।।

In PDF View

Or

Anirban

রাফ্ফ্লেসিয়া

কালের নিয়মে চলে যায় সব – ।।

চলে যায় সব পথ চলা –

চলে যায় যত পুরানো

       যত চেনা ম্যাড়মেড়ে একঘেয়ে জীবন ।

এই – দিন – ক্ষণ – মান – ঢেউ – যৌবন –

       তুমি- আমি – সময় ।।

       চলে যায় –

কালের নিয়মে চলে যায় সব ।।

এই চলে যাওয়া সিঁদুরে মেঘ –

        ওড়নার মতো

ভালোলাগা ছেড়ে গহন অরণ্য –

        এই ফেলে যাওয়া –

নায়াগ্রার মতো

        অবিরাম অবিরাম –

অথবা ব্যারেনের নাভীর মতো শোকার্ত ।।

তবু এক ছবি –

চলে যাওয়ার স্রোতে মাথা রেখে –

ঝিমধরা শরীরী অঘ্রান –

       স্তব্ধ রাফ্ফ্লেসিয়া –

তুমি – আমি – শ্রাবণ ।।

In PDF View

Or

Rafflesia

আর কখনো ডাকব না

ভাবি ……
তোমায় আর আঁকব’ না
বর্ণে ছন্দে এভাবে আর ডাকব না
ভাবব না আর ……
তোমায় আমি ভাবব না ।।
নিশিথ শেষে পরীর মতো
জানি কখনো আসবে না
দিলাম ছুটি
তোমায় আমি
ডাকব না ……
আর কখনো ডাকব না ।।

কখনো যদি দু চোখ জুড়ে
ভিজিয়ে পাতা এমনি করে
আমার মতো তুমিও কাঁদো ।।
নাই বা দিলে আমায় তুমি
সেই দু ফোঁটা  অশ্রু বিন্দু,
জানব তুমি আমারি ছিলে
সেই স্মৃতিরই নরম কোলে
ঘুমাও সোনা – আর কেঁদো না ||

আমি ওগো ফিরব না ……
আর কখনো ফিরব না ।।

In PDF View

Or

Ar Kakhano Dakbo Na

হয়তো কোনো সন্ধ্যা

নরম সন্ধ্যার লাজুক গালে আলতো চুমু
কাশফুল ছিঁড়ে দেওয়া মৃদু শৃঙ্গার
আর…..
বৃষ্টির বলি রেখার বিনুনি ৷
সন্ধ্যা লজ্জায় সবুজ হয়ে ওঠে ৷
সে সন্ধ্যা তখন গলতে সুরু করেছে,
আর একটু পরে –
মিশে যাবে রাত্রির উষ্ণ শরীরে ৷
রাত্রির শরীর থেকে যাবে বীজ হয়ে
দিনের অন্তরে ৷৷

কাল সে বীজ জন্ম দেবে
আর এক নতুন সন্ধ্যার ….
ঠিক আজ যখন সন্ধ্যা নামে ৷

সন্ধ্যা নামে দিন শেষ হয় বলে
সন্ধ্যা নামে রাত শুরু হয় বলে
সব কাজ শেষ হলে সন্ধ্যা নামে৷
এখন শুধু দুরন্ত রাত্রির অবসর
সব ভুলে থাকা ৷

ভয় হয় ……..
আমার সন্ধ্যা কোনো দিন হয়তো
ভুলে যাবে আমায় নিতে,
আমার গ্রাম – আমার শহর –
ভুলে যাবে ৷

হয়তো কোনো সন্ধ্যা ভুলে যাবে আমায় ……..

In PDF View

Or

hayto kono sandhya

ককটেল আরো এক ঢোক

ককটেল – আরো এক ঢোক ৷৷
কাল থেমেছিল চৌষট্টিতে
আজ কত হয় কে জানে ৷
ককটেল – আরো এক ঢোক ৷৷
ধ্যানের প্রাসাদ ঠেলে দেখি
তোমার নিস্পলক দুটি চোখ,
অবোধ বালকের কোনো
          লেথ্থি ছাড়া লাট্টুর মতো
           বনবন ঘোরে……..
           তবু যেন স্থির,
যেন – কতো কথা বলে
           নিদারুন গম্ভীর ৷৷
ককটেল আরো এক ঢোক ৷৷
তবু তো মাতাল করে না,
তোমার হাসির মতো !
চোরা পথে, আধখানা ঢাকা –
জ্যোৎস্নার মতো ৷৷
মানসী তুমি হাসো না …….
আর একটু মাতাল হই ৷৷
ককটেল – আরো এক ঢোক ৷৷
মৃদুস্বরে আধো আধো ডাক
প্রেম … ধরা ধরা ডাক
গুমে গুমে কাঠ……
কালো ছায়ে ঢাকা
লাল নয়, তবু –
গনগনে তাতা ৷
           আমাকে কেন
           ততটা মাতাল করে না ?!
দু-আঁচল সময় আরো
           ভিক্ষে চাই,
           যদি পাই –
আরো দুটি মূহূর্ত্ত ঘিরে
ততটা মাতাল করে –
           আমায় আবার ৷৷
ককটেল আরো এক ঢোক
দুরে …… আরো দুরে ….
তার নুপুর শুনি,
তুমি কি আসছ’ মনি..
এই বারে বসে – আরো কত বার
ঘুমিয়ে গেছি – অনেক আগেই
           তোমার আসার ৷৷
ঝমঝমে থমথমে আরো কত দুর
এখুনি বিকেল এলো এড়িয়ে দুপুর ৷
ককটেল আরো এক ঢোক
তুমি আসছো মনি,
তুমি আসবে জানি
           আজ জাগি –
ককটেল – আরও এক ঢোক …
ককটেল – আরও এক ঢোক ৷
or